ঠিক, আছে দিশা আমি চলে যাচ্ছি। তবে একটা ব্যাপার ভাবতেই অবাক লাগে।
স্কুল লাইফ নিয়ে স্ট্যাটাস বাণী এবং উক্তি সমূহ
জানিস তো মা ‘এই ছেলেটার মতো ছেলে হয়না। লাখে রক্তিমের মতো কোনো একটা ছেলে পাওয়া যায়। (দিশার আম্মু)
আরে ‘তুমি আবারও কাঁদছোকেনো । তোমাকে বললাম না কান্না থামাতে। তা না করে আরো বেশি কান্না শুরু করে দিলে।
তা কেবল অনুভব করা যায়, বর্ণনা করা যায় না।
এই পাগলি মেয়ে তুমি কাঁদছোকেনো। কান্না থামাও বলছি। তুমি যানো না আমি তোমার চক্ষে পানি সয্য করতে পানি না। প্লিজ তুমি কান্না থামাও।
আর সেটা দিশা কিছুদিন যাবার পর বুঝতে পারে। এদিকে রক্তিম আবার দিশাকে লুকিয়ে লুকিয়ে ফলো করতে করতে ওর উপর দূর্বল হয়ে পরে। এক সময় দিশাকে ভালোবেসে ফেলে। তো একদিন মনে অনেক সাহস নিয়ে যখন দিশার সাথে কিছু কথা বলতে যাবে তখনি ঘটে আরেক বিপক্তি। কে জেনো কার হ্যান্ডব্যাগ চুরি করে পালাচ্ছিলো। তাও আবার রক্তিমের সামনে দিয়ে। তাই রক্তিম সবার চিত্কার শুনে সাথে সাথে যে ব্যাগটা চুরি করেছে ওকে ধরার জন্য ওর পিছন পিছন দৌড় দেয়ে। এবং একসময় সে দৌড়ে চোরটাকে ধরেও ফেলে।
মেয়েটিও ফুল পছন্দ করতো, তাই প্রতি মাসের ১৪তারিখসহ বছর ঘুরে আসলে ১৪ফেব্রুয়ারি ছেলেটি মেয়েটিকে ভ্যালেন্টাইন্স ডে তে গোলাপের তোড়া দিতো আর সাথে থাকতো একটি চিঠি। যেখানে লেখা থাকতো সে তাকে কতোটা ভালোবাসে। ভালোবাসার গল্প
মামের ক্লান্ত চিন্তিত মুখটায় ফুটে উঠল একটা কোমল হাসি। মৃদু স্বরে জবাব দিল “তোমার কথা না শুনলে কার শুনব শুনি”?
কষ্টের ভালবাসার গল্প – ধোঁকা ও করুণ পরিণতি
কিন্তু আল্লাহ’র মনে হয় এটা চাননি। তাই আজকে যখন তোমায় পেলাম তখন আমার কাছে আর সময় নেই। তিনি হয়তো বা তোমার সাথে আমার মিল লিখে দেননি। জানো আমার এখন বড় কষ্ট হয় এটা ভেবে যে তোমায় ছেড়ে আমায় চলে যেতে হবে। (কথাটা বলতে বলতে আবারও ওর মুখে দিয়ে রক্ত গরিয়ে পরতে লাগলো..)
তুমি তো কোনো অন্যায় করোনি। তাহলে কি জন্য আমার কাছে ক্ষমা চাওয়া বলো।
আর একটা কথা কি জানিস ছেলেটা হয়তো আর কয়েক দিন আছে এই পৃথিবীতে। কারণ সে ওর দুটো ভালো কিডনী যখন তকে দিতে যায় ‘তখন ডাক্তার বলে আপাতত তোকে রক্তিমের একটা কীডনি দিলেই তুই বেচে যাবি। কারণ তোর তখন একটা কীডনি পুরো পুরি নষ্ট হলেও আরেকটা কিডনি কিন্তু একটু ভালোছিলো। সেটা দিয়েই চলতে পারতি। কিন্তু রক্তিম সেটা হতে দেয়নি। ও সেদিন বলেছিলো যে ‘ওর আগে পিছে কথা বলার মতোকেউ নেই। সেই ছোট্ট বেলায় নিজের মা-বাবাকে হারায়। তারপর বড় হয় তার মামির কাছে কিন্তু ৬ মাস আগে তার সেই মামিও ওকে ছেড়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে। তাই সে ওর দুটো কিডনী তোকে দিয়ে দিতে চায় এবং তোর যে কিডনীটা একটু ভালো আছে সেটা ও নিজে নিতে চায়। জানিস, সেদিন আমরা রক্তিমের কথা শুনে অনেক অবাক হয়ে যাই পরে এর কারণ জানতে চাইলে সে বলে যে”যাকে এতো ভালোবাসি ‘তাকে কি করে চলে জেতে দেই বলেন।
শোন তুই যে রক্তিমকে এতোদিন নানান কথায় অপমান করে এসেছিস! তুই কি কখনো এটা ভেবে দেখেছিস যে সে যদি আসলেই খারাপ হতো তাহলে তোর ওকে এতো অপমান করার সত্ত্বেও ছেড়ে দিতো বল। এটা কি একটি বারের জন্যও ভেবে দেখেছিস। সাথে আরো শোন সেদিন আসলে তোর সাথে ঠিক কি হয়েছিলো। (তারপর দিশার বান্ধবী দিশাকে রক্তিমের সাথে ঘটে যাওয়া সব কিছু খুলে বললো) এবার বুঝলি তো! আসলে ছেলেটার কোনো অপরাধ নেই ‘সে যখনি কারো উপকার করতে গেছে ঠিক তখনি তুই কোনো না কোনো ভাবে ওর সামনে চলে আসিস। আর যার ফলে তুই এতোদিন ওকে ভুল বুঝে আসছিলি। তোবে তকে আজকে আরেরটা না বললেই নয়”তুই যদি এবার এই ছেলেটাকে হারিয়ে ফেলিস না তাহলে আমি বলবো তুই তোর জীবনের সবচেয়ে মহা মূল্যবান জিনিসটাই হারিয়ে অপূর্ণ প্রেমের গল্প ফেলবি। তাই এখনো সময় আছে ওকে হারাতে দিস না। মনে রাখীস জীবনে একবার কোনো দামী জিনিস যদি হারিয়ে ফেলিস তা পরে হাজার চেষ্টা করেও আর ফেরত আনতে পারবি না। এখোন সব কিছু তোর উপরে। তোর যা ভালোমনে হয় এখন তুই তাই করতে পারিস।” আমার মনে হলো কথা গুলো তকে জানানো উচিত তাই জানালাম।
Comments on “The Ultimate Guide To স্কুল জীবনের অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প”